বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন
ইসলাম হোসেন, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি::
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গার সিরাজগঞ্জ রোডের আল মদিনা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে-জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার, দৈনিক আলোকিত সকাল, দৈনিক নতুন ভোর, দৈনিক অগ্নিশিখা, সপ্তাহিক একুশের কন্ঠ, সিরাজগঞ্জ হতে প্রকাশিত দৈনিক কলম সৈনিক-পল্লী টিভি, জেটিভি, সহ অসংখ্য অনলাইন প্রত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রকাশের পর জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার এর সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ রোড প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ জাকির হোসাইন, দৈনিক আমার সময় ও সিটিজি ক্রাইম টিভির প্রতিনিধি সাংবাদিক কাইয়ুম মাহমুদ, দৈনিক আলোকি সকাল ও দৈনিক নতুন ভোর পত্রিকার প্রতিনিধি সাংবাদিক শাহরিয়ার মোর্শেদ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় মৃত নবজাতকের নানা আব্দুর রহিম, নানা রফিকুল ইসলাম অপু ও মৃত নবজাতকের খালু ছাকোয়াত হোসেনকে আসামী করে সিরাজগঞ্জ জজ কোর্টে মিথ্যা বানোয়াট চাদাবাজির মামলা দায়ের করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত ১৮/১০/১৮ তারিখে হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যু হলেও নবজাতকের বাবার কাছ থেকে নরমাল ডেলিভারি খরচ বাবদ ৪০০০ টাকা বিল নেয়।
পরেরদিন নবজাতকের বাবা ফরিদুল ইসলাম ও নবজাতকের নানা থানার চকপাড়া গ্রামে মৃত সোনাউল্লার ছেলে রফিকুল ইসালম অপু ও নবজাতকের খালু ছাকোয়াত হোসেন হাসপাতালে গিয়ে বিলের কাগজ ও আলট্রাসনোগ্রাম এর রিপোর্ট চাইলে হাসপাতাল পরিচালক ভুয়া ডাক্তার মহসিন ও তার বোন ভুয়া গাইনি বিশেষজ্ঞ পারভিন সুলতানা ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালের জায়গার মালিক ছাইফুল ও তার ছেলে আল আমিন এবং হাফিজ সহ হাসপাতালে থাকা লোকজন দিয়ে মৃত নবজাতকের পরিবারে উপর হামলা চালায়।
এ ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় সলঙ্গা থানায় মৃত নবজাতকের বাবা ফরিদুল ইসলাম বাদী হয়ে হাসপাতালে ডাক্তার না থাকা ও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে মামলা করেন। যার অনুলিপি সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ও উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পাঠান হয়েছে বলে নবজাতকের বাবা ফরিদুল ইসলাম প্রতিবেদকে জানান। এঘটনায় স্থানীয় সংবাদিকরা যাতে সংবাদ প্রকাশ না করে সে জন্য সাংবাদিকদের প্রাননাশের হুমকি ধামকি দেয় হাসপাতালের পরিচালক মহসিন ও তার বোন পারভিন সুলতানা এবং হাসপাতালের জায়গার মালিকের ছেলে আলামিন ও হাফিজ।
এর পর রাত ভর দরবার করে বাদীকে মামলা না করা ও সাংবাদিকদের ঘুস দিয়ে লেখালেখি বন্ধ করার চেষ্টা করেন জায়গার মালিক ছাইফুল ইসলাম। গনমাধ্যম কর্মীর সংবাদ প্রকাশ করলে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি মিথ্যা মামলা করে। দেখে নেয়ার হুমকি দেন হাসপাতালের পরচালক ভুয়া ডাক্তার মহসিন। গত ২৫/১০/১৮ তারিখে বিকেলে ভুক্তভুগি মৃত নবজাতকের পরিবার ও এলাকার সমাজ সচেতন মহলের ব্যানারে-আল মদিনা জেনারেল হাসপাতাল বন্ধ ও ভুয়া ডাক্তার মহসিন ও তার বোন ভুঁয়া গাইনি বিশেষজ্ঞ পারভিন সুলতানার শাস্তির দাবীতে হাসপাতালের সামনে প্রায় ৪ শতাধিক মানুষ মানববন্ধ করে। অদৃশ্য কারণে সিভিল সার্জন সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের টনক নড়েনি।
উল্লেখ্য, ভুঁয়া ডাক্তার মহসিন ও তার বোন বন্ডকলম ভুয়া গাইনি বিশেষজ্ঞ দাবী করা পারভিন সুলাতানা কোন ডাক্তার না হলেও হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নামের তালিকা টাংঙ্গিয়ে রেখে অসহায় রুগিদের নিকট নিজেদেরকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সাজিয়ে লাক্ষ লাক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এর গত ২৬/১০/১৮ ইং তারিখে সিরাজগঞ্জ ইংলিশ রিপোর্টাস ক্লাবে স্থানীয় প্রত্রিকার সাংবাদিকদের,কে ডেকে সংবাদ সম্মেলন করে-সিরাজঞ্জ রোড প্রেসক্লাবে সাধারন সম্পাদক, জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার প্রত্রিকার সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সর্ব মহলে সমাদি সাংবাদিক মোঃ জাকির হোসাইন সহ সাংবাদিকদের নিয়ে অশ্বালিন বক্তব্য দেয়, যে বক্তব্য- দৈনিক যুগের কথা, দৈনিক যমুনা প্রবাহ ও সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন প্রত্রিকায় আংশিক প্রকাশ হয়েছে।
এ সংবাদ সম্মেল এর বিষয়ে সাংবাদিক জাকির হোসাইন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন-আমি আজ প্রেস রিলিজ হাতে পেয়েছি, আমি অবশ্যই মানহানির মামলা করবো। কারণ এর সাথে সাংবাদিকদের মান ইজ্জত জরিয়ে আছে। আমার ক্লাবের কোন সদস্য ভুয়া সাংবাদিক নয় সবাই জাতীয় প্রতিকায় কাজ ও টেলিভিশনে, অনলাইনে কাজ করে-আমার ক্লাবের কোন সদস্য নেশা খোর নয় এলাকায় সবার সর্বউচ্চ গ্রহন যোগ্যতা রয়েছে। টাকা দিয়ে আমাদের লেখালেখি বন্ধ করতে না পেরে আমাদের জরিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ সহ কোর্টে একটি মিথ্যে চাঁদাবাজির মামলা করেছে, আমরা বিচলিত নোই, ইনশায়াল্লা সত্যের জয় হবে। আমরা ভুয়া হলে আমাদের করা সংবাদগুলো প্রকাশ হতোনা? নিউজ মিথ্যে হলে তার বিরুদ্ধে মামলা করার বিধান আছে,সেটা না করে কাল্পনিক মামলা কেন?
এ ব্যাপারে হাসপাতালে পরিচালক মহসিন ও তার বোন পারভিন সুলতানা মিথ্যে মামলার বাদী হাসপাতালে আরেক পরিচালক শামিম রেজার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের মতামত চাইলে তারা কোন কথা বলবেন না বলে মোবাইলের লাইন কেটে দেন।